অন্ধ আব্দুর রহিম । জন্ম থেকে অন্ধ। অন্ধ মানুষ হলেও অন্যের মুখাপেক্ষী হননি কখনো । নিজে আয় করে চলেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজী মোহাম্মদ মহসিন হলে খাবার সরবরাহের কাজ করতেন । বাসা থেকে রান্না করা খাবার হলে পৌঁছে দিতেন। কিন্তু মার্চে করোনা সংকটে হল বন্ধ হয়ে যাওয়াতে আয়ের রাস্তা সম্পুর্ণ বন্ধ হয়ে যায় । আব্দুর রহিম ভাইয়ের চোখেমুখে অন্ধকার নেমে আসে ।
ঢাবির Md. Aman Ullah ভাই আব্দুর রহিমের ব্যাপারে আমাদের বিস্তারিত জানান । লক ডাউনের মধ্যে আব্দুর রহিমকে Do Something Foundation এর পক্ষ থেকে কিছু উপহার সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয় । আব্দুর রহিম ভাই ডু সামথিং ফাউন্ডেশনের পুর্নবাসন প্রকল্পের আওতায় একটা দোকান করে দেয়ার অনুরোধ জানান । রোজার মাসে তিনি অনুরোধ করেছিলেন । আব্দুর রহিমের কষ্টের কথা জানিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যে ১ লাখ টাকা ম্যানেজ হয়ে যায় । আজকে আব্দুর রহিমের দোকান ঘরের জন্য পুরো টাকা হস্তান্তর করা হয় ।
আব্দুর রহিম ভাই গত দুই মাস ধরে আমাদের অনুরোধ করে যাচ্ছিলেন দ্রুত দোকান করে দেয়ার জন্য । রাস্তার সাথে একটা ভালো পজিশনের দোকান পান। সাধারণত মেইন রাস্তার সাথে ভালো মানের দোকানের পজিশন খালি থাকে না । দোকানের খালি থাকার খোঁজ পাওয়ার পর থেকে প্রতিনিয়ত ফোন করেছেন । কারণ তার আশংকা ছিল দোকানের পজিশন যদি অন্য কোন ব্যক্তি নিয়ে নেন!!
বিকাশের মাধ্যমে তখন ১০০০০ টাকা পাঠিয়ে দোকানের পজিশন বুকিং করা হয় । আজকে সরাসরি আব্দুর রহিমের হাতে বাকি ৯০০০০ টাকা তুলে দেয়া হয় । ১ লাখ টাকার ৮০০০০ টাকা শুধু দোকানের এডভান্স দিতেই শেষ হবে । বাকি ২০০০০ টাকায় মালামাল ক্রয় করবেন । সেই দিক থেকে আব্দুর রহিমের হাতে আরও কিছু সহযোগিতা তুলে দিতে পারলে ভালো হতো ।
আব্দুর রহিমের গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জ৷ থাকেন ঢাকার কামারাংগীর চর । সরাসরি তার দোকানে গিয়ে অথবা আমাদের মাধ্যমে সহযোগিতা করতে পারেন । আব্দুর রহিমরা সংগ্রামী মানুষ । কোন প্রতিবন্ধকতার কাছে হার মানেন নি। ভিডিও দেখার পর আব্দুর রহিমের জন্য আপনার মনে একটা সফট কর্ণার তৈরি হবে নিশ্চিত ..